পীরগঞ্জে সন্ত্রাশী হামলা, নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন ।
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জে সন্ত্রাশী হামলা নারী নির্যাতনকারী ও ভূমি দস্যু খালেদুল, মঞ্জুর হোসেন ও সুজন বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিার বেলা ২.০০ ঘটিকায় উপজেলার রসুলপুর বাজারে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ দর্সিদের বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯.০০ ঘটিকায় মাহমুদপুর গ্রামে মৃত. হাসিব উদ্দিনের পুত্র সন্ত্রাশী ও ভূমি দস্যু বাহিনীর প্রধান আব্দুল হাকিম মাষ্টার ও মৃত. মানিক মিয়ার পুত্র খালেদুল, মঞ্জুর হোসেন ও সুজন বাহিনীর ২৫-৩০ জন ব্যক্তিসহ জমাজমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে বড় রসুলপুর গ্রামে মৃত. মোফাজ্জল হোসেন খাঁনের পুত্র মাহামুদুর রহমান ও মাসুদুর রহমান খাঁন চৌধুরীর বাড়ীতে সন্ত্রাশী হামলা চালায়। হামলায় বাড়ী ঘর ভাংচুরসহ কলা গাছ, আম, কাঁঠাল, মেহগনি গাছসহ প্রায় ৩০টি গাছ কর্তন করে। বাড়ীতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় মহিলারা বাঁধা দেওয়ায় দুর্বত্তরা চরাও হইয়া সুমাইয়া খাতুন (১৩) ও গৃহ বধু সামসুন্নাহার (৩০) কে শরীরের কাপড় চোপর টেনে হেছরে ফেলে এবং বিভিন্ন প্রকার শ্লীয়তা হানীসহ লাঞ্জিত করে। এর একপর্যায়ে সুমাইয়া খাতুন (১৩) প্রতিবাদ করায় তাকে লাঠি দ্বারা বেদম প্রহার করে। এতে সে গুরুত্ব আহত অবস্থায় অজ্ঞান হয়। পরে এলাকাবাসী তাহাদের আত্মচিৎকারে এগিয়ে আসলে দুর্বত্তরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আশঙ্খা জনক অবস্থায় সুমাইয়া খাতুনকে উদ্ধার পূর্বক উপজেলা স্বাস্থ্য¯ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমান তাহার অবস্থা আশঙ্খা জনক। এ ব্যাপারে ভূমি দস্যু বাহিনীর প্রধান আব্দুল হাকিম মাষ্টারের মুটো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উক্ত জমি ক্রয় করেছি, দখল ছেড়ে না দেওয়ায় আমরা তাদের উপর চড়াও হতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ সরেস চন্দ্রের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উক্ত জমির উপর রিতিমত ১৪৪ ধারাসহ একাধিক মামলা রয়েছে মহামান্য আদালতে। আমি নিজে উভয় পক্ষকে নিষেধ করেছি। যতদিন না মামলা নিস্পত্তি হবে ততদিন যে যে অবস্থায় আছে ঐ অবস্থায় থাকবে। ঘটনাটি আমি জেনেছি এবং পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। সুমাইয়ার পরিবারের লোকজন অভিযোগ দিলে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। মানব বন্ধন কারী এলাবাসীরা এহেন সন্ত্রাসী কার্য়কলাপ, নারী নির্যাতন কারীদের দ্রুত গ্রেফতার সহ কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।